নিউজিল্যান্ড এর ক্রাইস্টচার্চে জঙ্গি হামলার সরাসরি সম্প্রচারণের কারনে ইতিমধ্যেই অনেক হিম-সিম খেতে হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ‘ফেসবুক’-কে, সেকারনে সন্ত্রাসবাদ’কে মদত দেওয়ার মতো যেকোনো ধরণের প্রচারে অনুমতি দেবেনা আর ফেসবুক কতৃপক্ষ, একইসাথে এই ধরণের প্রচারকারী’দের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হতে পারে বলেও জানা গেছে। এছাড়াও সম্প্রতি ফেসবুক কতৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় যে, শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ সম্পর্কিত বর্ণবিদ্বেষমূলক কোনোরকম প্রচারে আর সম্মতি দেবেনা ফেসবুক, যাতে ভবিষ্যতে এই নিয়ে আবার তাদেরকে সমস্যার মুখে না পড়তে হয়।
নিউজিল্যান্ড এর ঘটনায় সম্প্রচারণের কারনে ফেসবুক অভিযুক্ত হওয়ার পর অনেকেই ফেসবুক-এ লাইভ স্ট্রিমিং অর্থাৎ সরাসরি সম্প্রচারণ পদ্ধতি বন্ধ করবার দাবী তুলেছে, আর এক্ষেত্রে ফেসবুক কতৃপক্ষ যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে ব্যাপারটি ভেবে দেখছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বেশ কয়েকবার ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে আত্মহত্যা, খুন বা হিংস্রতার মতো অপ্রীতিকর পোস্ট জনগণের মধ্যে ছড়িয়েছে। সেগুলি এড়াতেও সম্প্রতি ফেসবুক কতৃপক্ষ লাইভ স্ট্রিমিং এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠোর নিয়ম ঘোষণা করেছে।
গত শুক্রবার ফেসবুকের প্রধান পরিচালক শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে কে বা কারা ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবে, তা নিয়ন্ত্রণ করবে ফেসবুক।
এছাড়াও জানা যাচ্ছে যে, কেউ যদি একবার ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় অভিযুক্ত হন, তিনি আর পরবর্তীকালে ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবেন না।
নিউজিল্যান্ড এর সন্ত্রাসী হামলার পর ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় ৯০০ ধরণের ভিডিও জনগণের মধ্যে ছড়িয়েছে। এপ্রসঙ্গে পরিচালক স্যান্ডবার্গ বলেন, তাঁরা প্রযুক্তিগত উন্নতির চেষ্টা করছেন যাতে সম্পাদনা করা ভিডিও’গুলি সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, “নিউজিল্যান্ডের সহিংস ঘটনাটি মূলত মানুষের বেশি শেয়ার করা। এর সম্পাদনা করা সংস্করণের কারণে ফেসবুকের সিস্টেমের জন্য ধরা কঠিন হয়ে যায়।”