বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ বাংলাদেশ মুজিব কন্যা হাসিনা সরকারের শাসনে চলছে । আগের মত হিন্দুরা ততটা নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও ফের হিন্দুদের এবং তাদের ধর্মীয়স্থানে হামলা চালালো একদল দুষ্কৃতী । ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলায় । পুলিশ একজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে । কালীপূজার আগে এই রকম ঘটনা ঘটার ফলে গোটা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ধর্মীয়স্থানে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী । গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক প্রতিমা । এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার পিরোজপুরের জেলার নাজিরপুর উপজেলায় তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা । নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়নের কলারদোয়ানিয়া বাজার ও কলারদোয়ানিয়া গ্রামে মন্দিরে হামলা হয়। কলারদোয়ানিয়া বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, কলারদোয়ানিয়া গ্রামে শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করার ঘটনায় আটক কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) পার্শ্ববর্তী নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে। ওই যুবক প্রথমে কলারদোয়ানিয়া বাজার সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করে। পরে কলারদোয়ানিয়া বাজার সংলগ্ন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধীর রঞ্জন মল্লিকের বাড়ির শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর করে। ওই বাড়ির গৃহবধূ গৌরী মল্লিক জানান, তিনি ভোরবেলা মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে পুজো দেওয়ার জন্য ফুল তুলতে যান। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখেন পাঞ্জাবি পরা, মাথায় টুপি ও মুখে দাড়িওয়ালা এক লোক বাড়ি থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তখনও তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেননি। তারপর মন্দিরে ঢুকে দেখেন সব প্রতিমা ভাঙা।
নাজিরপুর থানার ওসি মহম্মদ মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি পুলিশ সুপার-সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আটক কামরুল ইসলাম সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শুধু ঘটনাস্থলে নয়, কালীপুজোর উত্সবে বাংলাদেশে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্যে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে কালী পূজার সময় মন্দির এবং মন্ডপগুলিও নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকবে বলে বাংলাদেশ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটাই পিছু হঠেছে জামাত-সহ বেশ কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠন । সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়ামি লিগ সরকারের কড়া মনোভাবে কোণঠাসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি এবার সংখ্যালঘুদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে অত্যাচার চালানোর দোষে বেশ কয়েকজন জামাত নেতার ফাঁসি হওয়ার পর থেকেই দেশের সিলেট, ঢাকা-সহ একাধিক জায়গায় হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।