বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ শুক্রবার মসজিদে নামাজ পড়ার পর বুন্দেলখণ্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সেখাকার জেলাশাসকের হাতে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকার ডিমান্ড ড্রাফ্ট তুলে দেয় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ক্ষতিপূর্ন হিসাবে । এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সগর্বে টুইট করলেন, “যারা হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখিয়েছিল, তারা প্রত্যেকেই এখন কাঁদছে। কারণ রাজ্যে ক্ষমতায় আছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার”
हर दंगाई हतप्रभ है।
हर उपद्रवी हैरान है।
देख कर योगी सरकार की सख्ती मंसूबे सभी के शांत हैं।
कुछ भी कर लो अब, क्षतिपूर्ति तो क्षति करने वाले से ही होगी, ये योगी जी का ऐलान है।
हर हिंसक गतिविधि अब रोयेगी क्योंकि यूपी में योगी सरकार है। #TheGreat_CmYogi
— Yogi Adityanath Office (@myogioffice) December 27, 2019
নাগরিকত্ব আইনের বিপক্ষে প্রথমে বিক্ষোভে নেমেছিল ত্রিপুরা । এরপর অসম । তারপর খুব দ্রুত বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভারতের আনাচে কানাচে । বেশিরভাগ জায়গায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল না । বিক্ষোভের পাশাপাশি অনেক হিংসাত্মক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ । তবে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রনে সবচেয়ে বেশী কঠোর মনোভাব দেখিয়েছে উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ । যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কঠোর মনোভাব দেখে সবাই চুপ করে গিয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ এবার এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে পুলিশি অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে এমনই টুইট করলেন শুক্রবার । অবশ্য পূর্বে উত্তর প্রদেশের বিক্ষোভ নিয়ে তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপরে ‘বদলা’ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। উল্লেখ্য এই পর্যন্ত উত্তর প্রদেশে নাগরিকত্ব বিরোধী প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী বিক্ষোভকারী মারা গেছে । সংখ্যাটা একেবারে কম নয় – সরকারি হিসাবে ২১ জন । যোগী আদিত্য নাথ অবশ্য আগেই ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনের নামে কোন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হলে, যারা নষ্ট করবে তাঁদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে ।
শুধু মুখে বলে থেমে থাকেনি উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী । মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে নোটিস পাঠিয়েছে মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু তাতে পাত্তা না দিয়ে যোগী কড়া হাতে বিক্ষোভ দমন করার পাশাপাশি যারা যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে এমন ৪৯৮ জনকে সরকারিভাবে চিহ্নিত করেছেন ।যাদের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার জন্য ক্ষতিপুরন আদায় কর হবে । পাশাপাশি রাজ্যে বিক্ষোভের মাধ্যমে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ১১১৩ জনকে গ্রেপ্তার কর হয়েছে । অবশেষে যোগী আদিত্যনাথ আর একটি টুইটে জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশে শান্তি ফিরে এসেছে।
যোগী আদিত্যনাথ অবশ্য এই কড়া ভাবে বিক্ষোভ দমন করলেও সমালোচিত হয়েছেন । তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদলগুলি অভিযোগ জানিয়েছে, বিক্ষোভ দমন করার জন্য দমনপীড়ন চালিয়েছে যোগী সরকার। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক বলেন, “এদেশের মানুষের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে বিক্ষোভকে হাতের বাইরে চলে যেতে দিয়েছিল। ”