বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্ক: আজ 12:07টায় নয়া দিল্লির এইমস হসপিটাল-এ প্রবীণ আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেতা অরুণ জেটলি অকাল প্রয়াত হয়েছে ।মেধাবী এই রাজনীতিবিদের অকাল প্রয়াণে শোকে স্তব্ধ গোটা রাজনৈতিক মহল । বিজেপির বড় বড় নেতাকর্মীরা সমস্ত কাজ ফেলে অরুণ জেটলি কে একবার শেষ দেখা দেখার জন্য দিল্লির এইমস হসপিটাল-এ ছুটেছেন । শোকে স্তব্ধ হয়েছে দিল্লির ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কারণ । 1999 সাল থেকে 2013 সাল পর্যন্ত দিল্লী ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন অরুণ জেটলি । অরুণ জেটলি প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীর এর মত বড় বড় ক্রিকেটার উঠে এসেছে । অরুণ জেটলি মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন বিরাট কোহলি । তিনি এতটাই শোকার্ত যে, তার নিজের বাবার কথা মনে পড়ে গেল অরুণ জেটলির মৃত্যুতে । সুদূর ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে তিনি টুইট করে তার শোক বার্তা জানাতে ভুললেন না ।
বিরাট কোহলি ২০০৬ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে রঞ্জি ম্যাচ খেলতে নামার আগে খবর পেলেন, বাবা মারা গিয়েছে। শেষকৃত্য সেরে ফিরে এসে সে দিনই তাঁর ব্যাট থেকে বেরিয়েছিল একটা ঝকঝকে সেঞ্চুরি। আর এই সেঞ্চুরি দেখেই সেই ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ বুঝে গিয়েছিলেন তৎকালীন দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অরুণ জেটলি। তারপর থেকে প্রতিটা মুহূর্তে পাশে থেকেছেন, সাহস জুগিয়েছেন। আর আজ যখন জেটলি মারা গেলেন, তখন দেশ থেকে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরে খেলতে ব্যস্ত সেই ক্রিকেটার, বিরাট কোহলি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘুম থেকে উঠেই জেটলির খবর শুনেছেন বিরাট। তারপরেই টুইট করেছেন পরম শ্রদ্ধায়। টুইটে তিনি লিখেছেন, “অরুণ জেটলিজির মৃত্যুর খবর শোকস্তব্ধ। তিনি সত্যিই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সবসময় সবাইকে সাহায্য করতেন। ২০০৬ সালে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি সময় বের করে আমাদের বাড়িতেও এসেছিলেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।”
Shocked & saddened to hear about the passing away of Shri Arun Jaitley ji. He was genuinely a good person, always willing to help others. He took out his precious time back in 2006 when my father passed away to come to my home & pay his condolences. May his soul rest in peace.
— Virat Kohli (@imVkohli) August 24, 2019
২০০৭ সালে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতেন কোহলি। তারপর ২০০৮ সালে ভারতীয় দলে সুযোগ। টানা ১১ বছর খেলছেন। দলের অধিনায়ক, বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হয়েছেন। একের পর এক রেকর্ড ভেঙেছেন। অন্যদিকে ক্রিকেট প্রশাসন, রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর পর আজ চলেই গেলেন জেটলি। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও তাঁদের সম্পর্কে ঘাটতি হয়নি।
২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই বছরই অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্টে অধিনায়কত্বও পান বিরাট। আর তারপরেই জেটলি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, “নরেন্দ্র মোদী ও বিরাট কোহলিকে কেউ হারাতে পারবে না।” অন্যদিকে আবার ২০১৫ সালে যখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ সরকার ডিডিসিএ-তে দূর্নীতির অভিযোগ তুলে জেটলির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন, তখন প্রকাশ্যে তাঁর সমর্থনে দাঁড়িয়েছিলেন বিরাট। নিজের পথপ্রদর্শক কাম অভিভাবকের পাশে দাঁড়িয়ে কোহলি বলেছিলেন, “আমরা গর্বিত জেটলিজিকে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়ে। তাঁর সময়ে দিল্লি ক্রিকেটের শুধুই উন্নতি হয়েছে।”