বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ আবার ২০১৬ এর নভেম্বরের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে ২০০০ টাকার নোট বাতিলের জল্পনা। তবে এই জল্পনাকে একেবারে উড়িয়ে দিল অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বললেন, এই মুহূর্তে এইরকম কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের।
কিছুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল যে ফের বাতিল হতে পারে ২০০০ টাকার নতুন নোট এবং তার পরিবর্তে আসতে পারে নতুন ১০০০ টাকার নোট। আর এই জল্পনা ২০১৬ এর নোটবন্দির স্মৃতিকে রাতারাতি উস্কে দিয়েছে। এই জল্পনার কথা এদিন সরকারের রাজ্যসভার বৈঠকেও তুলে ধরেন সমাজবাদী পার্টীর নেতা বিশ্বম্ভর প্রসাদ নিশাদ। তিনি মোদী সরকারের ওপর নিশানা হেনে বলেন যে, ২০০০ টাকার নোট বাজারে আসার দরুন কালো টাকার পরিমাণ খুব বেড়েছে এবং তিনি এও বলেন যে ২০০০ টাকার নোটের বদলে সরকারের উচিৎ ১০০০ টাকার নোট চালু করা। তবে এই সমস্ত জল্পনাতে জল ঢেলে দেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী আনুরাগ ঠাকুর। তিনি দেশের মানুষের বিভ্রান্তি দূর করে এই কথা ঘোষণা করেন।
এরসাথে তিনি মোদী সরকারের নোটবন্দির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন যে, পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকা বাতিলের ফলে কালো টাকার লেনদেন যেমন বন্ধ হয়েছে তেমনই নকল টাকাও কমেছে বাজারে। তারফলে বেড়েছে টাকার পরিমাণ। আর লেনদেন ডিজিটাল হবার দরুন বেড়েছে টাকার পরিমাণ। তিনি আরও বলেন যে, জাল নোটের পরিমাণ কমার ফলে দেশের অর্থনীতিও অনেকটা দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে। এছাড়া রাতারাতি নোটবন্দির মাধ্যমে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল হবার ফলে সন্ত্রাসবাদীদের খুবই অসুবিধে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আরবিআই জানিয়েছে ২০১৬-২০১৭ এর অর্থ বছরে অর্থাৎ নোটবন্দির বছরে জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৭.৬২ লক্ষ, ২০১৭-২০১৮ সালের মধ্যে নোট বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৫.২২ লক্ষ এবং২০১৮-২০১৯ সালের মধ্যে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩.১৭ লক্ষ জাল নোট। কার্যত নোটবন্দিতে দেশের অর্থনীতিতে ক্ষতিতো হয়ইনি বরং লাভ হয়েছে প্রচুর।
