বং দুনিয়া ওয়েব ডেস্কঃ গত চারদিন ধরে ভারতের রাজধানী দিল্লীতে যে ঘটনা ঘটছে তাতে রীতিমত আঁতকে উঠছে গোটা দেশ । একদল আরেক দলকে দোষারোপ করে চলেছে, কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার লক্ষণ সেভাবে দেখা যাচ্ছে না । এরই মধ্যে আগামীকাল ভুবনেশ্বরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হবার কথা । দিল্লির হিংসার ঘটনার প্রেক্ষিতে অমিত শাহর ডাকা ওই বৈঠক যাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বয়কট করেন, সে ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দাবি জানালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
আগামীকাল পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক বসছে ভুবনেশ্বরে। সেখানে যোগদান করার জন্য গত পরশু দিন পুরীতে চলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী মুর্শিদাবাদে বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ হন তা হলে অমিত শাহর ডাকা বৈঠক বয়কট করে দেখান”! অধীর আরও বলেন, “যখন দিল্লি জ্বলছে, মৃত্যু মিছিল অব্যাহত, সারা ভারতবর্ষে দিল্লির সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আলোচনার বিষয়, হাজার হাজার মানুষ দিল্লি ছেড়ে পালাচ্ছেন, তার মধ্যে বাংলার একটা বিশাল অংশ রয়েছে, যাঁরা ভয়ে দিল্লি ছেড়ে পালাচ্ছেন, সেই অবস্থায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কিনা চারদিন ধরে ভুবনেশ্বরে বসে রয়েছেন। মন্দিরে পুজো দিয়ে বিশ্ব শান্তির কথা বলছেন, কিন্তু দিল্লির দাঙ্গার ঘটনা নিয়ে কোনও নিন্দা করছেন না। বড় অবাক হয়ে লক্ষ্য করছি তিনি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের জন্য ভুবনেশ্বরে অপেক্ষা করছেন”।
এদিকে এদিন অধীর বাবু বিজেপি সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকেও এক হাত নিলেন । দিল্লীতে দিনের পর দিন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটার জন্য অমিত শাহের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “দিল্লিতে যখন হিংসার ঘটনা ঘটছে তখন এই অমিত শাহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করে আমদাবাদে বসে রইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে খাতির করার জন্য। যদি দিল্লির দাঙ্গা রোখার সত্যিই চেষ্টা করতেন তাহলে এত মানুষের প্রাণ যেত না।”
তবে আধিরবাবুর এই দাবী তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে কতখানি গুরুত্ব পাবে সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । আগামী বছর বাংলায় বিধানসভায় ভোট । রাজ্যের বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে বিজেপি । গত লোকসভা ভোটে বিজেপি যথেষ্ট চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসক দলের । তবে ইদানিং নিজেদের জমি অনেকটাই ফিরে পেয়েছে তৃণমূল । অন্যদিকে আগামী মাসেই রাজ্যে পুরসভা ভোট । দিল্লীর ঘটনা মুর্শিদাবাদের মত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় তৃণমূলের সম্পর্কে সন্দেহ জাগাতে অধীর এ ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে অনেকেই ধারনা করছেন ।