ভারতের পুলয়ামাতে জাওয়ানদের ওপর আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর ভারত, পাকিস্থানের সম্পর্ক ঘিরে সারা বিশ্বে যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছিল তার ফলে বিশ্বের পরমানু শক্তিধর দেশগুলি একে অপরের সঙ্গে সৌজন্যতা মূলক মিত্রতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। এমত অবস্থায় সবাইকে চমকে দিয়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া প্রথমবারের জন্য সংগঠিত করলো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বন্দরনগরী ভ্লাদিভস্তকের কাছাকাছি প্রশান্ত মহাসাগরের রাস্কি দ্বীপে দুই নেতার এই বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় রাষ্ট্রপ্রধান দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকার করেন। ক্রেম্লিনের মতে, দুই নেতা পরমানু নিরস্ত্রীকরন নিয়ে আলোচনা করবেন এবং কিমের যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা ব্যার্থ হওয়ায় রুশ সহায়তা চাইবে বলে আশা করা যায়।
ভিয়েতনামের হ্যানয়ে ট্রাম্পের সাথে পরমানু কর্মসূচী নিয়ে ব্যার্থ আলোচনার পর দুই দেশের নেতারা তাদের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্কের ইতিহাসের কথা তুলে ধরেন।
পুতিন কোরিয়ান অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে চান এবং কিম আশা করেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর বৈঠক হবে ।কিম বুধবার রাশিয়ায় পৌঁছনোর পর তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা করা হয় এবং রুশ কর্মকর্তাদের সাথে আন্তরিকভাবে সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি।