2023 সালের শেষ: 2023 সাল শেষ হতে চলেছে। আমাদের চলে যাওয়ার সাথে সাথে এই বছরের অনেক মিষ্টি এবং টক স্মৃতি রয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের দ্বন্দ্ব সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। ৭ই অক্টোবর শুরু হওয়া এই যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলকে সমর্থন করলেও মুসলিম ও আরব দেশগুলো ইসরাইলকে নিন্দা করে। ৬৩ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধে শুধু ধ্বংসই দেখা যায়।
হ্যাঁ, ৭ই অক্টোবর ভোরে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। ইসরায়েলের অনেক শহরে ৫ হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১৪০০ মানুষ মারা গেছে। এই হামলার জবাবে ইসরাইলও পাল্টা জবাব দেয়। ইসরাইল গাজায় হামাসের অবস্থানে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। ইসরায়েলি হামলায় হামাস যোদ্ধাদের পাশাপাশি হাজার হাজার ফিলিস্তিনিও নিহত হয়।
গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে
গাজায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। একই সময়ে ৪৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হামাসের হামলার পর ইসরাইল হামাসকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট বলেছেন, হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস না করা পর্যন্ত এই লড়াই চলবে। এই ঘোষণার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
গাজায় হামাসের হাজার হাজার আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে
বেছে বেছে গাজায় হামাসের ঘাঁটি ধ্বংস করা শুরু করে। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন হামাস কমান্ডার এবং শতাধিক যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ধীরে ধীরে আইডিএফ গাজায় ফ্লোর অপারেশন পরিচালনা করে হামাসের অবস্থান ধ্বংস করে। শিশু হোক বা বৃদ্ধ…ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কাউকেই করুণা করেনি। ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫ হাজার যুবক মারা গেছে।
গোটা বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল
ইসরায়েলি হামলার কারণে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুসলিম দেশ ও আরব দেশগুলো ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব নিয়ে গোটা বিশ্ব দুই ভাগে বিভক্ত। কিছুটা প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের বিরোধিতা করেছেন। একই সময়ে পশ্চিমা দেশগুলো ইসরাইলকে সমর্থন করে। প্রায় দেড় মাস সংঘর্ষ চলার পর আমেরিকা ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি
এই চুক্তির আওতায় হামাস ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। বিনিময়ে ইসরাইল ১৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। এই চুক্তির প্রয়োজন ছিল কারণ হামাস গাজায় 240 ইসরায়েলি নাগরিককে জিম্মি করে রেখেছিল। এই চুক্তির আওতায় ২৪ নভেম্বর জিম্মি ও বন্দীদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। হামাস 100 জনেরও বেশি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, যখন ইসরাইল প্রায় 200 ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
১৩৭ জন জিম্মি এখনও হামাসের হেফাজতে
137 জিম্মি এখনও হামাসের হেফাজতে রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জন মেয়ে ও শিশু রয়েছে। এগুলো কবে চালু হবে কেউ জানে না। প্রায় এক সপ্তাহ যুদ্ধবিরতির পর আবার সংঘর্ষ শুরু হয়, যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই লড়াই আর কতদিন চলবে? বর্তমানে এটা বলতেও কষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি, কাতার আবারও যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করলেও সম্ভবত বিষয়টি কার্যকর হয়নি।