চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। ওই দিন টানেলটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদির এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ের অংশের উদ্বোধন করবেন।
রাজধানীর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ চালু হলে যানজট অনেকাংশে কমবে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন এ তথ্য জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে জেলা প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
বৈঠকে বলা হয়, টানেল উদ্বোধন শেষে ২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনোয়ারা প্রান্তে জনসভায় ভাষণ দেবেন।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এম.ডি. তোফায়েল ইসলাম বলেন, টানেল নিয়ে ভুল বা নেতিবাচক প্রচারণা থাকতে পারে। এ বিষয়ে সবার জানা উচিত। নেতিবাচক প্রচারণা চালালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
সেতু সচিব মো. মনজুর হুসেন বলেন, টানেলের ভেতরে জনসাধারণের জন্য গাইডেন্স সিস্টেম থাকবে এবং ৮টি রেডিও চ্যানেলে স্বয়ংক্রিয় দিকনির্দেশনা থাকবে। যতক্ষণ যানবাহন টানেলে থাকবে ততক্ষণ এই দিকটি স্বয়ংক্রিয় হবে, টানেলের ভিতরে ফ্রিকোয়েন্সি নির্বিশেষে।
তিনি আরও বলেন, টানেলে কোন যানবাহন চলতে পারবে আর কোনটি যাবে না সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। টোল রেট নির্ধারিত আছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অনেক সুপারিশ এসেছে, যা আমরা বিবেচনা করছি।
দেশের প্রথম টানেলের নামকরণ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে চীনের চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিএল)।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলের কাজের অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ৫ শতাংশ। ইতোমধ্যে টানেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক (ইলেকট্রো মেকানিক্যাল) কাজ চলছে। টানেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়কের কাজও শেষ হয়েছে।