এমনই একটি ত্রুটিপূর্ণ মিটার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটিকে দেখানো হয়েছিল, যা বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই চালানোর সংকেত দিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল এই আনন্দ মিটার আনেন।
সভায় সদস্যরা ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, প্রিপেইড ও পোস্টপেইড মিটারে অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করেন। দেশে সাড়ে তিন কোটি বিদ্যুতের মিটারের মধ্যে ৫ লাখ ত্রুটিপূর্ণ। যা শতাংশে প্রায় দেড় শতাংশ- বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য আবু জাহির, তানভীর শাকিল জয়, সেলিম মেহমুদ, আবদুর রউফ, উমর ফারুক ও কানন আরা বেগম উপস্থিত ছিলেন। সভায় অনেক সদস্য ভোক্তা পর্যায়ে বিদ্যুতের বিল খরচের চেয়ে বেশি হওয়ার কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিল বাড়ছে। এটি ঠিক করতে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হন। এগুলো বন্ধ করতে মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ দ্রুত প্রতিবেদন আকারে সংসদীয় কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
কানন আরা বেগম বলেন, বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বলা হয়েছে এখনো শতভাগ প্রিপেইড মিটার হয়নি। এটা বলছে কিছু ত্রুটি আছে। উপরন্তু, আমরা যেমন বলেছি, বিদ্যুৎ না থাকলেও কিছু মিটার সরে যায়। মিটারে কী কী সমস্যা আছে, কী কী উন্নতি ও সমাধান হয়েছে সে বিষয়ে পরবর্তী বৈঠকে আমরা মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দিতে বলেছি।
সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ কমিটিকে জানায়, সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশে লোডশেডিং বেড়েছে। এর মেরামতের কথা উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগও কমিটিকে জানিয়েছে, ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটছে।