রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিং মঙ্গলবার বিকেলে বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এই আস্থা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর চলমান চীন সফরের বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সিপিপিসিসির জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সংলাপ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
দলীয় নেতাদের পারস্পরিক সফরেও তারা একমত হয়েছেন। ওয়াং হুনিং বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এবং আওয়ামী লীগ উভয়েরই জনকল্যাণের অভিন্ন লক্ষ্য।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সকালে সেন্ট রেজিস হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পার্লার কক্ষে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কের (এআইআইবি) প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এআইআইবিকে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, নদী খনি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অন্যান্য দরকারী খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
এআইআইবি সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে নজিরবিহীন বলে বর্ণনা করেন।
এর আগে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইজিংয়ের শাংরি-লা সার্কেলে ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন’ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রায় ৯০ জন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং চীনের শতাধিক ব্যবসায়ী উপস্থিত ছিলেন এবং বাংলাদেশ ও চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
সম্মেলনে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোং লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টং ঝু, এইচএসবিসি চায়নার চেয়ারম্যান ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন। বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে বিএসইসি চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং বাংলাদেশে আগ্রহ প্রকাশ করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের সব কর্মসূচি একই থাকবে। প্রধানমন্ত্রী ১১ জুলাই সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।