প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা সংকটকে সর্বশেষ টাইম বোমা আখ্যায়িত করে বলেন, এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের ওপর জোর দেওয়া হয়। ইউনূস বলেন, এই সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের হাতে নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
“আমরা এই সমস্যাটি উত্থাপন করতে থাকব,” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের সমর্থন করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন কিছু যা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্বোধন করা দরকার।
ড. ইউনূস বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা। সেখানে রোহিঙ্গার সংখ্যা খুবই কম।
তিনি আরও বলেন, এটা বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়, মালয়েশিয়ারও সমস্যা। আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়া সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করব।
মালয়েশিয়া 2025 সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী চেয়ার হতে যাচ্ছে।
রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরেন ড. ইউনূস বলেন, গত ৭ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে ৩২ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা যুবকদের সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম কক্সবাজারে অবস্থিত আশ্রয় শিবিরে বেড়ে উঠছে। এই হচ্ছে বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম।
তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।
ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তা করছে। এই সমস্যার একটি আন্তর্জাতিক সমাধান খুঁজতে মালয়েশিয়া আসিয়ান এবং আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।