আগের মতোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এক চিঠিতে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মিয়ানমারে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আগের মতোই সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
চিঠিতে মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থাকবে, যারা মিয়ানমার থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগের মতোই সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বিশ্বাস করে যে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান মানবিক সংকটের পাশাপাশি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার কারণ হচ্ছে। দেশটি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন বন্ধে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারের জান্তা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে বিরোধ বাংলাদেশেও পৌঁছেছে। এদিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বাংলাদেশি নাগরিক। সংঘর্ষ ও ওপাশ থেকে ভেসে আসা প্রচণ্ড গুলির শব্দে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জনবসতি। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে না পেরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের দুই শতাধিক সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
উল্লেখ্য, 1970 সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস শুরু করে। সম্প্রতি 2017 সালে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের জোট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু মিয়ানমারে সামরিক চৌকিতে অতর্কিত হামলার পর আরসা একদিনেই পরাজিত হয়। ফলস্বরূপ, 800,000 এরও বেশি রোহিঙ্গা তাদের জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।