কাও সোয়ে মো প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশে মিয়ানমারের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। সাহাবুদ্দিনের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দেয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয় দিলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত এসব মানুষ যাতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য মিয়ানমার এমন পরিবেশ তৈরি করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে নতুন রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার আহ্বান জানান।
আগামী সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ বিমসটেকের চেয়ারপারসনের পদ গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিমসটেককে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। বাংলাদেশ আসিয়ানের সংলাপ অংশীদার হতে চায়। এ ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির কাছে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, তার দেশ মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ তার সরকারের কাছে জানাবেন এবং সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।