দেশে চলমান সংরক্ষণ আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে ‘সম্পূর্ণ বনধ’ পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির আওতায় রাজধানীর বাড্ডা-রামপুরা এলাকায় বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
নিহতের নাম দুলাল মাতাবর। তিনি পেশায় একজন চালক। সংঘর্ষের সময় তিনি একটি HiS গাড়ি চালিয়ে এলাকা অতিক্রম করছিলেন।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ফরাজী হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুবেল হোসেন নিহতের পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি জানান, নিহতের বুকের কাছে একটি গোল ক্ষত চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এটি গুলির ক্ষত কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।
রুবেল বলেন, প্রায় শতাধিক পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। হাসপাতালের কর্মীরা তাকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
বেলা সাড়ে ১১টার পর বাংলাদেশ টেলিভিশনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় গেটের সামনের সড়কে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা একে অপরকে ধাওয়া দেয়।