প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খুনি জিয়া রক্তমাখা হাতে খেতে বসতেন, খেতে বসে মৃত্যু পরোয়ানায় সই করতেন।
তিনি বলেন, জিয়ার নির্দেশে অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছে; স্বাধীন দেশের একটি নিন্দনীয় অধ্যায়। স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাজিত করে তারা প্রমাণ করেছে তারা পরাজিত শক্তির দালাল। জিয়া মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না।
জিয়ার সাড়ে পাঁচ বছরের শাসনামলে ২১টি প্রশ্ন/পাল্টা প্রশ্ন ছিল। লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে জিয়া অত্যন্ত হিংস্র ও বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন।
আজ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন সরকারি দলের সদস্য মোহা. আসাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বই ‘বাংলাদেশ লিগ্যাসি অফ ব্লাড’-এর উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, সরকারী বিবরণ অনুসারে, জিয়া 1977 সালের 9 অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র দুই মাসে 1,143 জন সৈন্যকে দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করে একই সঙ্গে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন জিয়া। খুনিরা ফারুক-রশিদ জাতির পিতাকে হত্যার পরিকল্পনা আগেই করেছিল, যা জিয়া অবগত ছিলেন।
জিয়া সামরিক ক্যাম্পে বসে দলত্যাগী রাজনীতিবিদদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তিনি অবৈধভাবে বিএনপি গঠন করেছেন।