সংগৃহীত ছবি


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে একটি মন্ত্রী পর্যায়ের 2+2 বৈঠক আজ (10 নভেম্বর) ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে যোগ দেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন। তবে ব্লিঙ্কেন আসার আগেই বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সেখানে উড়ে এসেছিলেন। নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মনে করে পিটার হাসের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনায় প্রাধান্য পাবে।

বৈঠকে মার্কিন মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং মন্ত্রী রাজনাথ সিং উপস্থিত থাকবেন।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে, দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রিপোর্ট করেছে যে 2024 সালে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখা যাচ্ছে। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়।

সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে যে তারা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়; তবে চীনের হস্তক্ষেপ এতে বাধা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি।

দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিক ইয়াসি শেলীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্থানীয় জনগণের ঝোঁক চীনপন্থী। প্রতিবেশী দেশগুলোতে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের সংকট বাড়াতে পারে। মালদ্বীপের নির্বাচনে চীনপন্থী মহম্মদ মুইজু জয়ী হওয়ার পর দ্বীপরাষ্ট্রে ভারত তার পা রাখা হারিয়েছে। প্রতিবেশী অঞ্চলে অনুরূপ পরিস্থিতি ভারতের প্রভাবকে আরও দুর্বল করবে।

ইয়াসি শেলি মনে করেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশে আমেরিকার ক্রমবর্ধমান আগ্রহ। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিনিয়োগ। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন তাই গুরুত্বপূর্ণ এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.