জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৪ জুন) তিনি ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদ ভবনের দোতলায় স্থাপিত ‘মুজিব অ্যান্ড ফ্রিডম’ পরিদর্শন করেন। সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ‘মুজিব অ্যান্ড ফ্রিডম’ নিয়ে প্রদর্শিত বিভিন্ন ছবি ও ঘটনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ভিজিট বইয়ে স্বাক্ষর করেন এবং ‘মুজিব অ্যান্ড ফ্রিডম’-এর প্রশংসা করেন। তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব অ্যান্ড ফ্রিডম’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্পিকার। শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সংরক্ষণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার এক অনন্য প্রয়াস ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’। এখানের প্রথম কক্ষে রয়েছে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর শৈশব ও কৈশোর থেকে মুজিব ভাইয়ের যুবক হয়ে ওঠা, ভারত বিভক্তি ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, অশান্ত ভাষা আন্দোলন ও পরিবর্তন। ৫০-এর দশকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বাঙালির মুক্তি সনদের ৬ দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০-এর নির্বাচন দেখানো হয়েছে।
দ্বিতীয় কক্ষে 1970 সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে ঘটনার প্রবাহ শুরু হয়ে একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে অগ্রসর হয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বলিষ্ঠ ভাষণ, ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা, রক্তাক্ত নয়টিতে সর্বস্তরের মানুষের মুক্তির জন্য অক্লান্ত সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ- যোদ্ধা এবং নায়কদের রুমে রেকর্ড করা হয়.
তৃতীয় কক্ষে রয়েছে বাংলাদেশের গৌরবময় বিজয়ের সোনালি ইতিহাস, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের পরিচিতি সুদৃঢ় করা। , বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেস মুজিবের সংগ্রামী জীবন ও বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক জীবনের কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে। এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্ধকার অধ্যায় ঘটে।
এ সময় জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আবদুস সালামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।