বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে এসেছে। গত কয়েকদিনে এই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে, তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী সব মিডিয়া এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে রিপোর্ট করছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ‘বাংলাদেশে চাকরির কোটা নিয়ে বিক্ষোভে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় চাকরি সংরক্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। উপরন্তু, কর্তৃপক্ষ সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে আধাসামরিক বাহিনী বর্ডার গার্ড (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘আমরা আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগান দেয়।
একই দিন ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ‘কোটাবিরোধী বিক্ষোভে হত্যা, সহিংসতার তদন্তের নির্দেশ সরকারের নির্দেশ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। চলমান বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংস সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার একদিন পর বুধবার (17 জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের পর বিক্ষোভ সহিংস রূপ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের প্রতিবাদে বুধবার থেকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সরকার একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করবে।
এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমস ‘কোটাবিরোধী বিক্ষোভে হত্যা, সহিংসতার তদন্তের নির্দেশ সরকারের’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। চলমান বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংস সংঘর্ষে ছয়জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার একদিন পর বুধবার (17 জুলাই) এ ঘটনা ঘটে।