প্রধান উপদেষ্টা। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “মহান নবী মুহাম্মদ (সা.) মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আবির্ভূত হয়েছেন, তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অগণিত সুন্দর শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন যা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবে হিসাবে
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের মহামানব, বিশ্ব মানবতার মুক্তিদাতা মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যু পরস্পর সম্পৃক্ত। বিশ্ববাসীর জন্য ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) এর পবিত্র স্মৃতি, বিশেষ করে মুসলমানদের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ার হেদায়েত ও মুক্তির জন্য ‘রহমাতুলিল আলামীন’ অর্থাৎ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছেন। মহানবী (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি’ (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)। মুহাম্মদ (সা.) তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে আসেন। সকল প্রকার কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, পাপাচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙ্গে মানবজাতির চির মুক্তি, শান্তি, প্রগতি ও সার্বিক কল্যাণের বার্তা নিয়ে আসেন। তিনি বিশ্ববাসীকে মুক্তি ও শান্তির পথে আসতে, অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে সত্যের আলো জ্বালাতে আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আজকের দ্বন্দ্ব-বিধ্বস্ত বিশ্বে বিশ্বশান্তি, ন্যায় ও কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব একমাত্র মহানবী (সা.)-এর অনন্য জীবনধারা, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ ও উপাসনার মাধ্যমে। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণ ও অনুকরণের জন্য বিশ্ববাসীর জন্য সর্বোত্তম এবং তাতেই নিহিত রয়েছে চির কল্যাণ, সাফল্য ও সমৃদ্ধি। মুসলমানদের শান্তি।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি, মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং মানবতার কল্যাণে কাজ করেন।’