ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতীয়দের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন, এর ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনীতি বদলে যাবে।
গত মঙ্গলবার মুম্বাইয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম) শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি IIM মুম্বাইয়ের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে বর্ধিত সংযোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘আপনি যদি আজ বাংলাদেশে যান, দেখবেন দুই দেশের মধ্যে ট্রেন চলে… বাস চলে… ভারতীয়রা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এটা করা ভারতের উত্তর-পূর্বে (অর্থনীতি) ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা (বাংলাদেশের অনুমতি) না থাকলে উত্তর-পূর্বের মানুষদের শিলিগুড়ি হয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলের বন্দরে যেতে হতো। তারা এখন চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘আগরতলা-আখাউড়া রেললাইন বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে যাতায়াতের সময় ও দূরত্ব কমিয়ে দেবে। বড় বাজারে প্রবেশ, পণ্য পরিবহন এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ (দুই দেশের) বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বন্ধন এবং সাহিত্য, সঙ্গীত ও শিল্পের প্রতি অভিন্ন আবেগ ভারত-বাংলাদেশের অভিন্ন ঐতিহ্যকে শক্তিশালী করে।
সেই সময় জয়শঙ্কর নেপালের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘নেপালের বিদ্যুৎ ভারতে রপ্তানি করা দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক লেনদেন।’ তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা আছে। প্রতিযোগিতায় ভয় পাবেন না। প্রতিযোগিতাকে স্বাগত জানানো উচিত। এবং এটা বলতে হবে যে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতা আছে।