জাপান ও ইতালি বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জড়িত। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ফোরামে দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে তার সঙ্গে ঢাকা সম্পূর্ণ একমত।
গত বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফর করেন। দুই দেশের সম্পর্ক কৌশলগত পর্যায়ে রয়েছে। একই সঙ্গে যৌথ ঘোষণায় সরকারি নিরাপত্তা সহায়কের তালিকায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে জাপান। এরপর দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার কথা হয়। সম্প্রতি ঢাকায় জাপান ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবদের বৈঠকে দেশটির পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রস্তাব আসে। জানতে চাইলে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আলোচনা চলছে, তবে টোকিও সামরিক সরঞ্জাম কেনার আগে একটি গোপনীয়তা চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে।
গত মাসে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হয়। ইতালিও বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইতালির প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইতালির সঙ্গে সহযোগিতা করে আসছি। সামরিক সক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও তাদের ইতিমধ্যে সুনাম রয়েছে।
জানতে চাইলে ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে আগ্রহী।
নতুন সরকার গঠনের পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠির মাধ্যমে প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।