বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দেশের জনপ্রিয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অফিসিয়াল পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে লেখা আছে, বন্যার্তদের জন্য উপহার প্যাকেজে ফিলিস্তিনি পতাকা। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ সাই রামাদান ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য এসব উপহার পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং আমরা সংকটকালে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
এদিকে ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে গণহত্যা বা মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে। 20 শতকের গোড়ার দিকে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল, তবে সংঘাতের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে 1948 সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে।
এই সংঘাতে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ, দখলদারিত্ব, জনসংখ্যার বাস্তুচ্যুতি এবং বেসামরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 1967 সালের ছয় দিনের যুদ্ধের পর থেকে, অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বসতি এবং সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
তদুপরি, গাজায় নিয়মিত সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণ প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং গণহত্যা বলে মনে করে।
2023 সালে সর্বশেষে, গাজায় সহিংসতা আবার বেড়েছে। পরিস্থিতি এখনও অস্থিতিশীল। সংঘাত লক্ষাধিক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এই দ্বন্দ্বের পেছনে অনেক রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক বিষয় জড়িত। যা এই দ্বন্দ্বের সাথে দেখা করা এবং সমাধান করা খুব কঠিন করে তোলে।