অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমরা একটি জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ চাই। এবং বন্যা আমাদের একত্রিত করেছে। বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর আরেকটি কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং সময় অপেক্ষা করছে, আশা করি আমরা আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারব।
গতকাল রাত ৮টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্যা সমস্যা ষড়যন্ত্র কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখব। আসলে ফ্যাসিবাদী সরকার গত ১৬ বছরে বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। এমন রাষ্ট্রের লাগাম আমরা হাতে নিয়েছি, রাষ্ট্রের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ধ্বংস হয়ে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিকে দোষারোপ করে লাভ নেই। আমরা বলছি, সব ব্যবস্থার সংস্কার। তার ঊর্ধ্বতনদের কাজ করতে না দেখলে সে করবে না, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং সিস্টেমটি উপরে থেকে নীচে ঠিক করা দরকার। বর্তমান ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতির পর আমরা ব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু করব। ছাত্ররা সিস্টেম সংস্কারের জন্য সংগ্রাম করে। শুধু ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য নয়।
উপদেষ্টা আসিফ বলেন, ‘নোয়াখালী একটি উপকূলীয় এলাকা। এখানকার মানুষ বন্যার সাথে খুব একটা পরিচিত নয়। তবে তারা উপকূলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন। তাই সবাইকে উদ্ধার কাজে গতি আনতে হয়েছে। আমরা চাই সবাই একসঙ্গে কাজ করুক। অন্যান্য জেলা থেকে মানুষ সাহায্যের জন্য নোয়াখালীতে এসেছে। আপনারা তাদের সহযোগিতা করবেন।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বেগমগঞ্জ উপজেলার কারিগরি বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের খোঁজ খবর নেন। এরপর তিনি আশ্রয়স্থলের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন ও সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় সেনাবাহিনীর ১৬ পদাতিক বাহিনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল উদ্দিন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, জেলার বিভিন্ন দফতরের প্রধান, গণমাধ্যমকর্মী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।