বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্ন ফাঁস করে উপার্জিত অর্থ খরচ করেছেন বলে দাবি করেছেন।
একজন সাংবাদিক আবেদ আলীকে প্রশ্ন করেন, গাড়িচালক হয়ে এত সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে?
আপনি কুইজে কত টাকা করেছেন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে আবেদ আলী বলেন, কুইজে যত টাকা আয় করেছি, সব আল্লাহর পথে ব্যয় করেছি।
গত রোববার (৭ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বিসিএস প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেসবুকে সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্ট ভাইরাল হতে থাকে।
আবেদ আলী তার ফেসবুক টাইমলাইনে লিখেছেন- ‘আমি জীবনে কখনো আসাদুপের সাহায্য নিইনি। ‘কঠোর পরিশ্রম করে ভাগ্য বদলেছি।’ ১২ জুন তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি এ কথা লিখেছেন।
এদিকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সৈয়দ আবেদ আলী ও তার ছেলে সোহনুর রহমান সিয়ামসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহকারী খলিলুর রহমান ও অফিস সহকারী (প্রেষণ) সাজেদুল ইসলাম।
এ ছাড়া সাবেক সেনা কর্মকর্তা নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলেমান। সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত শাহাদাত হোসেন। মামুনুর রশিদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান ডা. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী ভাই সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।