তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থীদের মধ্যে ১০৬ কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৯০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের আয়-সম্পদ বিশ্লেষণ করে (হলফনামার ভিত্তিতে) এসব তথ্য দেন।
প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া স্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে কোটিপতির সংখ্যা গণনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে টিআইবি। জমির মতো স্থাবর সম্পদ কোটিপতিদের নিয়ে আসে না কারণ তাদের মূল্য দেওয়া কঠিন।
টিআইবি জানায়, তৃতীয় ধাপে ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেদের ব্যবসায়ী ঘোষণা করেছেন। 12.06 শতাংশ সহ কৃষি দ্বিতীয় বৃহত্তম পেশা। পেশার দিক থেকে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে আইন পেশা (৭.৬৯ শতাংশ) এবং শিক্ষকতা পেশা (৪.৩৭ শতাংশ)।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৮.৯৯ শতাংশও নিজেদের ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নারী প্রার্থীদের মধ্যে ৪৮.৫৪ শতাংশ গৃহিণী। আর প্রায় ৩২ শতাংশ বলেছেন, তারা পেশায় ব্যবসায়ী।
গত ২১ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে সভাপতি পদে প্রার্থীদের প্রায় ৭১ শতাংশই ব্যবসায়ী। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ছিল ১০৫ কোটিপতি। এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে চেয়ারপারসন প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশ ছিলেন ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসছেন কি না এবং তারা আসছেন কি না, তা হলো জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতায় থাকলে তাদের আয় ও অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি। ফলে জনস্বার্থের বিষয়গুলো প্রাধান্য পাচ্ছে না।
টিআইবির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের শক্তি বাড়ছে। অন্যদিকে কৃষি ও শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামী বুধবার দেশের ৯০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ পর্বে ১১২টি উপজেলায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদে সব পদে একজনই প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন নেই। এর আগে দুই উপজেলা পরিষদের ভোট স্থগিত করা হয়। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ১৯টি উপজেলার ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।