চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে শুল্ক কমাতে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মেহবুব হোসেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ গুরুত্ব দেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ মন্ত্রীদের কাছ থেকে সর্বশেষ পরিস্থিতি জেনেছেন। মন্ত্রীরা তাদের করা কাজ এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি রমজানে চারটি প্রয়োজনীয় পণ্য, খেজুর, ভোজ্যতেল, চিনি ও চালের ওপর শুল্কহার কমানোর জন্য এনবিআরকে নির্দেশ দেন। তারা এখন এটি নিয়ে কাজ করছে। যে পরিমাণ শুল্ক কমাতে হবে তা এনবিআর হিসাব করবে, যাতে জনগণের ওপর পণ্যের দামের চাপ কম হয়।
মেহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রীরা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। অনেক কিছু প্রভাবিত হতে শুরু করেছে। আগামী মাসে রমজানকে সামনে রেখে নিয়ন্ত্রণের জন্য এই চারটি পণ্যে শুল্ক কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।
‘বাজারে চাহিদা ও সরবরাহে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে, এমন নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’ এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় খোলা এলসির পরিমাণ অনেক বেশি, খাদ্য মজুদের পরিমাণ অনেক বেশি, এসব পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রীদের গৃহীত পদক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এলাকায় চলমান কাজ অব্যাহত রাখতে বলেন। সরবরাহ যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেজন্য এলসি খোলা হয়েছে যাতে কেউ কারচুপি করতে না পারে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসির কোনো সমস্যা নেই উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত বছর একই সময়ে ৩৭ হাজার ১০৭ টন খেজুর আমদানির এলসি খোলা ছিল, এবার ৪৪ হাজার ৭৩৪ টন এলসি খোলা রয়েছে। দূরে
গত বছর একই সময়ে এলসির আওতায় আমদানি করা হয়েছিল ৯৭ হাজার ২৮৭ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল। এবার এলসি হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৪ টন। গত বছর ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮৭০ টন কাঁচা চিনির এলসি খোলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ৩ লাখ ৮৭ হাজার ১৩৮ টন চিনি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে।