সরকারি নিয়োগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা বাতিল এবং ২০১৮ সালের প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তি বহাল রাখার দাবিতে দেশের অধিকাংশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতাদের দেওয়া কর্মসূচি বাস্তবায়নে সারাদেশের ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শ্রেণীকক্ষে ফিরতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় গ্রুপ ও ফেসবুক পোস্টে চলমান আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

চলমান ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছে।

সংরক্ষণ আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা অনলাইন ও অফলাইনে গণসংযোগ করেছি। ঢাবি থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।” এখন পর্যন্ত ৪৭টি বিভাগের সকল ব্যাচ আমাদের আন্দোলনে সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আরও ১৬টি বিভাগ আংশিক ক্লাস-পরীক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অনেক বিভাগ ও ব্যাচ এখনো ক্লাস-পরীক্ষা এড়িয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও আমরা অনেক সাড়া পাচ্ছি। আমরা আনন্দমোহন কলেজ থেকেও ক্লাস বর্জনের খবর পেয়েছি। আমরা মনে করি এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। আমাদের ৪ দফা দাবি পূরণ না হলে আমরা রাজপথ থেকে সরব না। আমরা বিজয়ী হয়ে দেশে ফিরব।

জবি, জবি, রাবি, চবি, ইবিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগেও ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আগামী ৭ দিন ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৬৬টি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগ ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি বিভাগ থেকে ক্লাস বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়নি।

প্রসঙ্গত, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। অতিরিক্তভাবে, আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে পূর্ণ রায় প্রকাশের পর তার আপিল (নিয়মিত আপিল) বাদ দিতে বলেছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

শুনানিতে আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষকে বলেন, আপাতত হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকুক। সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হলে, আপনাকে অবশ্যই একটি নিয়মিত আপিল দায়ের করতে হবে। আমরা শুনব

Nitya Sundar Jana is one of the Co-Founder and Writer at BongDunia. He has worked with mainstream media for the last 5 years. He has a degree of B.A from the West Bengal State University.

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.