সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বহালসহ চার দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সেখানে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করার পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।
তবে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, বুধবার (৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটায় আবারও তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেবেন। চাহিদা। আগামীকাল তারাও পারফর্ম করবে
তিনি দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই ব্যানারে একই সঙ্গে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা শুধু শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নয়। এটি একটি রাষ্ট্রীয় বিষয় মুক্তিযোদ্ধা কোটা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক জিনিস নয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বংশগত ঐতিহ্যের বিষয় নয়, এটি একটি জাতীয় আদর্শ আমরা তরুণরা এই আদর্শে বিশ্বাসী তাই আমরা শুরু করেছি। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে।’
এর আগে বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি এক হল থেকে অন্য হল পর্যন্ত চলে এবং নীলক্ষেতে পৌঁছায়। এরপর মিছিলটি নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব ও বাটা সিগন্যাল হয়ে শাহবাগে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায়কে ‘সঠিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
তবে হাইকোর্টের রায় খারিজ হওয়ার পরপরই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। পরদিনও একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। গ্রীষ্ম শেষে এবং ঈদুল আজহার ছুটির পর কোটা বহালের বিরুদ্ধে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজপথে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা।