অবশেষে চালু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। এক মাস পর মঙ্গলবার কাজে ফিরেছেন ধর্মঘটকারী কর্মীরা। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা কোম্পানি আগামী রোববার কাজে ফিরলে মেট্রোরেল চালু করতে চায়।
এক মাস বন্ধ থাকার পর শনিবার মেট্রোরেল আবার চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে ধর্মঘটের কারণে শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, কর্মীরা কাজে ফিরেছেন। আমরা আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু করার চেষ্টা করছি। তবে আন্দোলনের কারণে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুরের ১০টি মেট্রোরেল স্টেশন বন্ধ থাকবে।
গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘সম্পূর্ণ বনধ’ কর্মসূচি চলাকালে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর মোড়ে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। আগুনের কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে মেট্রোরেলে। জননিরাপত্তার স্বার্থে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টায় মেট্রোরেল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরের দিন, 19 জুলাই, মেট্রোরেল সপ্তাহান্তের জন্য বন্ধ। ওইদিন বিকেলে দুর্বৃত্তদের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে মেট্রোরেল।
11 আগস্ট সড়ক পরিবহন মন্ত্রক বলেছিল যে 17 আগস্ট মেট্রোরেল চলবে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও চলছিল। তবে ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে ওই দিন মেট্রোরেল চলাচল সম্ভব হয়নি।
৮ আগস্ট ডিএমটিসিএলের ১০ থেকে ২০ গ্রেডের ৭ শতাধিক কর্মচারী মেট্রোরেলের উত্তরা ডিপোর সামনে মানববন্ধন করে এবং ছয় দফা দাবিতে সম্পূর্ণ ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়। তবে গত ৬ আগস্ট থেকে তারা বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবি জানিয়ে আসছেন। মানববন্ধন শেষে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং কর্মকর্তাদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।
