কলম্বিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই শিশু। এ ছাড়া এই ভূমিধসের কারণে দেশের মেডেলিন ও কুইবডো শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, আটকে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছানোর জন্য দেশটি উদ্ধার ও অনুসন্ধান অভিযান চালাচ্ছে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম কলম্বিয়ায় ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধসে অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ লিখেছেন, ‘এই ট্র্যাজেডিতে ৩৩ জনের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এলাকা থেকে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নিহতদের অধিকাংশই শিশু।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আটকে পড়াদের উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান চলছে।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে দেশটির মেডেলিন ও কুইবডো শহরে বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এ কারণে দুই শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও, ভূমিধসের সময় ব্যস্ত মহাসড়কে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রাস্তার কাদায় অনেক যানবাহন আটকে যাওয়ায় কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
শনিবার কলম্বিয়ান পুলিশের একটি বিশেষ উদ্ধারকারী দল বেশ কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে এবং মৃতদের মধ্যে কয়েকজনের মৃতদেহও উদ্ধার করেছে। কিন্তু অনেক রাস্তা বন্ধ থাকায়, উদ্ধারকর্মী এবং দমকলকর্মীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছতে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন।
এদিকে, চোকো অঞ্চলে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো প্রোটো। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ বলেছেন, ভূমিধসে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
কারমেন ডি আত্রাতোর মেয়র জেইমে হেরেরা একটি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেছেন যে আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর এবং অন্যদের এখনও মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। তবে কতজন মাটির নিচে চাপা পড়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে বর্তমানে খরা মৌসুম চলছে। তবে, দেশটির জলবায়ু, আবহাওয়া ও পরিবেশ সংস্থা সতর্ক করেছে যে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে প্রশান্ত মহাসাগর এবং পূর্বে আমাজন বনের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভূমিধস হতে পারে।