মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আজকাল মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে যা আমাদের রাষ্ট্রের সম্পদের অপচয়।
শুক্রবার গাজীপুরের কাপসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নে ভাওয়াল চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তলা একাডেমিক ভবন ও চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় যুব ক্লাবের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী সবাইকে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করার আহ্বান জানান।
সিমিন হোসেন শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মাধ্যমে দেশের সুনাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে দেশের সুনাগরিক হতে হবে। পর্যায়ক্রমে বিদ্যালয়ের সকল চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।
একই দিন সকালে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাপসিয়া ফল মেলার উদ্বোধন করে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড়-দুর্গত পরিবারকে বিল্ডিং পারমিটের জন্য ভাউচার ও নগদ চেক বিতরণ করে। এছাড়া রাণীগঞ্জ থেকে ভাঙ্গুড়া মমতাজের বাড়ি হয়ে গাজীপুর পাকা রাস্তারও শুভ উদ্বোধন করা হয়।
এদিন গাজীপুরের কাপসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে মাজেদা বেগম কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু 2001
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কাপসিয়া উপজেলায় ৫৪তম মাজেদা বেগম কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে কাপসিয়া উপজেলায় সন্তান প্রসবের সময় কোনো মায়ের মৃত্যু হয় না, যা জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) কর্তৃক সর্বোত্তম অনুশীলন হিসেবে স্বীকৃত।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহবুব উদ্দিন সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান প্রমুখ।