মাওলানা ফজলুর রহমান, দেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রধান, ইমরান খানকে প্রতিস্থাপন করার জন্য পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এর সাথে একটি জোট সরকার গঠন করেছিলেন। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান।
এরপর মাওলানা ফজলুর রহমান জোট সরকারে থাকা সত্ত্বেও গত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন। তাই পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) নির্বাচনের পর থেকেই মাওলানা ফজলুর রহমানকে জোটে যোগ দিতে রাজি করার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।
পিএমএল-এন নেতা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেও শান্ত হননি মৌলানা। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদের নির্বাচনে তার দল ভোট দেয়নি। এবার মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং পিপলস পার্টিকে (পিপিপি) ক্ষমতা থেকে সরাতে মাওলানার নেতৃত্বে একটি বিরোধী জোট গঠন করা হচ্ছে।
সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানিয়েছে যে রবিবার জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর নেতৃত্বে বিরোধী মহাজোটের স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পিটিআই ও জমিয়তের মধ্যে সম্ভাব্য জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্টিয়ারিং কমিটি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম স্টিয়ারিং কমিটির জন্য পাঁচজনের নাম ঘোষণা করবে। সম্ভাব্য আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করবে স্টিয়ারিং কমিটি।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে তেহরিক-ই-ইনসাফ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রেস কমিটির মধ্যে স্টিয়ারিং কমিটির নাম বিনিময় হবে। এছাড়া মাওলানা ফজলুর রহমানের সঙ্গেও দেখা করবে পিটিআই প্রতিনিধি দল।
সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টিয়ারিং কমিটি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর আন্দোলনের কৌশল নির্ধারণ করা হবে।