বরখাস্ত হতে পারেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান (জানা নং 300060)। ২৩ জুন তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) সংযুক্ত করা হয়। এরপর ৯ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি যোগ দেননি।
সোমবার জানা যায় মতিউর রহমান একদিনের জন্যও আইআরডিতে আসেননি। আপনি যদি একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিযুক্ত হন তবে আপনি নিয়মিত পদে অধিষ্ঠিত হয়েও কোনও কাজ করতে পারবেন না। এ জন্য তাকে নিয়মিত অফিসে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হবে, কিন্তু তিনি তাও করছেন না। ছুটি নেওয়ার বিধান থাকলেও আইআরডি এ ধরনের কোনো আবেদন পায়নি। জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া বলেন, মতিউর রহমানের এ ধরনের কর্মকাণ্ড অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, মতিউর রহমান এ পর্যন্ত যা কিছু করেছেন, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা যেতে পারে। এবং বিভাগীয় মামলায় সিদ্ধান্ত হল ন্যূনতম তিরস্কার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি হল চাকরি থেকে বরখাস্ত।
জানা গেছে, ছাগলের ঘটনার পর দুই ছেলেকে নিয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে চলে যাওয়া মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিবলিও সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে নেই। খিলক্ষেত এলাকার বনরূপা আবাসিতে তিনটি কাঠের প্লট, ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছয়টি ফ্ল্যাটের মালিক তার। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকার মধুবাগে একটি, মিরপুর সেনপাড়ায় একটি, ধানমন্ডিতে দুটি ও চট্টগ্রামে দুটি ফ্ল্যাট।
এসব ফ্ল্যাটের দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। চট্টগ্রামে একটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৫ হাজার ৫০০ বর্গফুট। আয়কর ফাইলে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যাংকে এবং নগদ টাকা হাতে রয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ডিপোজিট মিলেনিয়াম স্কিমে ২৮ লাখ ৬৫ হাজার, ডিপিএস ২২ লাখ ৫৪ হাজার, এফডিআর ৭০ লাখ এবং অন্যান্য বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে ৫ কোটি টাকা। কিন্তু এই টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে তার কোনো উল্লেখ নেই। শাম্মী আখতারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, আয়কর ফাইলের বাইরে তার আরও অনেক সম্পদ রয়েছে।