ইরানের নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরান একটি “বড় ভুল” করেছে এবং তাকে “মূল্য দিতে হবে”। ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই জেরুজালেমে নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
ওই বৈঠকে তিনি মন্তব্য করেন যে ইসরায়েলের হামলা ‘ব্যর্থ’ হয়েছে। নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত। এ কারণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ব্যর্থ হয়েছে। এ সময় তিনি আমেরিকার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
“ইরান সরকার আমাদের আত্মরক্ষার সংকল্প এবং আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সংকল্প বুঝতে পারে না,” নেতানিয়াহু বলেছেন।
“হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাসের সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ এটা বোঝেন না, হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং হিজবুল্লাহর চিফ অফ স্টাফ ফুয়াদ শুকর এটা বোঝেন না, এবং সম্ভবত তেহরানে এমন কিছু লোক আছে যারা এটা বোঝে না”।
“তারা বুঝতে পারবে,” ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হুমকি দিয়েছিলেন, “যে আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা আক্রমণ করব।”
আইআরজিসি বলেছে, তারা আত্মরক্ষায় হামলা করেছে। ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরে, আইআরজিসি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলে যে “ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়েছে”।
আইআরজিসি স্পষ্ট করেছে যে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফরউশানের শাহাদাতের প্রতিশোধ নিতে এই হামলা চালানো হয়েছিল।
আইআরজিসি বলেছে, “আমরা অধিকৃত ভূখণ্ডের কেন্দ্রস্থলে হামলা চালিয়েছি।”
আইআরজিসি ঘোষণা করেছে যে ইসরায়েল পাল্টা জবাব দেওয়ার চেষ্টা করলে আরও মারাত্মক হামলা চালানো হবে।