ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে আপস করতে প্রস্তুত নয়। যুদ্ধের পর কোনো এলাকা ছাড়তে চায় না দেশটি। ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি শীঘ্রই দ্বন্দ্ব (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শেষ করবেন। কর্মকর্তাকে তার বক্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

ওয়াশিংটন সফরকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু যুদ্ধে শান্তির ইস্যুতে কিয়েভ যেকোনো পরামর্শ শুনতে প্রস্তুত।” কিন্তু মূল্যবোধ, স্বাধীনতা, মুক্তি, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা আপস করতে প্রস্তুত নই।

আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউক্রেন ইস্যু সেখানে আলোচনার প্রধান বিষয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইয়ারমাক এই সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াশিংটন সফর করেন।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন উপলক্ষে দুই প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বিডেনের মধ্যে বিতর্ক হয়। ট্রাম্প জো বিডেনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন যে তিনি যদি নভেম্বরের নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন তবে তিনি জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার আগে এই যুদ্ধের সমাধান করবেন। তবে কীভাবে এটি সমাধান করা হবে তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি।

গত সপ্তাহে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দুই শীর্ষ উপদেষ্টা তাকে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, কিয়েভ রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেবে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণে মস্কোর দাবি করা চারটি এলাকা ছেড়ে দিতে রাজি হলে যুদ্ধ শেষ হবে। তবে পুতিনের এই শর্ত মানেননি ট্রাম্প।

যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যকে ইউক্রেন কীভাবে দেখছে জানতে চাইলে আন্দ্রে ইয়ারমাক বলেন, “সত্যি বলতে, আমি জানি না, দেখা যাক।”

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.