আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে গাছ, দেয়াল ও ছাদ ধসে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় ২৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য নানগারহার আঞ্চলিক হাসপাতাল এবং ফাতিমা-তুল-জাহরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এএফপির খবর।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান কুরেশি বদলুন এএফপি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় জালালাবাদ ও নাঙ্গারহারের কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২৩০ জন।
তিনি বলেন, অতিবৃষ্টিতে গাছপালা, দেয়াল ও মানুষের ঘরের ছাদ ধসে প্রাণহানি হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
বদলুন জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য নাঙ্গারহার আঞ্চলিক হাসপাতাল এবং ফাতিমা-তুল-জাহরা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের পোস্ট করা একটি ছবিতে সাদা ও নীল ইউনিফর্ম পরা স্বাস্থ্যকর্মীরা আহতদের দেখাশোনা করছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা ছবিতে ধসে পড়া ভবন এবং উপড়ে পড়া বৈদ্যুতিক খুঁটি দেখা যাচ্ছে।
নানগারহারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৪০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধ ছিল। অনেক নাগরিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য হাসপাতালে রক্ত দিয়েছেন।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “আমরা নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।”
মুজাহিদ
তারা বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয়, খাবার ও ওষুধ দেবে।
ট্র্যাজেডিটি মে মাসে আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যার পরে, যার ফলে শত শত মানুষ মারা যায় এবং দেশের কৃষি জমির বেশিরভাগ অংশ ডুবে যায়। যেখানে ৮০ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য কৃষির ওপর নির্ভরশীল।