নেতা-কর্মীরা সবাই লাল টি-শার্ট পরে আছেন। মাথায় লাল টুপি। রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে তারা এসেছেন কয়েকটি বাসে। তারা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী পার্কের গেটে জড়ো হয়ে একসঙ্গে স্লোগান দেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রবেশ করেন।
আজ রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা একটার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটে নেতা-কর্মীরা ঢোল বাজিয়ে ও ব্যান্ড পার্টি করে আনন্দ করছেন। মিছিল নিয়ে জড়ো হন। ঢাকার বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে বাসে করে আসছেন নেতাকর্মীরা। তারা সোহরাওয়ার্দী পার্কের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন।
সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরীর অনুসারী ও সমর্থকরা বেশ কয়েকটি বাস নিয়ে এসেছেন। তাদের একজন খিলক্ষেতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করি। দলীয় কর্মসূচিতে এসে ভালো লাগছে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি। হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা। মিছিলে বর্তমান সরকারের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো উন্নয়ন প্রকল্পের প্ল্যাকার্ড ছিল। শাহবাগ মোড় থেকে টিএসসি অভিমুখে সড়কে ছোট ছোট মিছিল বের করছেন নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার এক যৌথসভায় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদির ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ কর্মসূচির আওতায় আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংগীত ও জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হবে। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার টিকাটুলির রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ হিসেবে যে দলটির জীবন শুরু হয়েছিল সেটিই আজকের আওয়ামী লীগ। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় রয়েছে।