বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য দল যারা 12 আগস্ট ড. ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছিল তাদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। জনপ্রিয় অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
১৪ দলীয় জোট, জাসদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জেকার পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টি, ক্ষমতায় ছিল না। বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আন্দোলন-এনডিএম, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি)।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় সভায় খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় পার্টি, জাতীয়বতী সমনা জোট, ১২ দলীয় জোট ও বাংলাদেশ জাসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বিকাল ৩টায় খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশসহ ৭টি ইসলামী দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। খেলাফত মজলিসের নেতৃত্ব দেবেন দলের আমির মাওলানা আবদুল বশিত আজাদ। প্রতিনিধি দলে ড. আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, জাহাঙ্গীর হুসাইন ও মুনতাসির আলী।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতৃত্বে থাকবেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধি দলে থাকবেন মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা জালাল উদ্দিন। গণফোরামের নেতৃত্বে থাকবেন ড. কামাল হোসেন। তার প্রতিনিধি দলে থাকবেন মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এস এম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের ও মোশতাক আহমেদ।
বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিতব্য আলোচনা সভায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্ব দেবেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ। তার প্রতিনিধি দলে ছিলেন ড. রেদওয়ান আহমেদ, নেয়ামুল বশির, নুরুল আলম তালুকদার ও আওরঙ্গজেব বেলাল।
বিকেল ৫টায় আলোচনা সভায় নেতৃত্ব দেবেন এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। তার প্রতিনিধি দলে থাকবেন জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ এনইপির শাওন সাদেকী, সময়াবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ জাসদ ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান উপদেষ্টা ড. ১২ দলের জোটের নেতৃত্ব দেবেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার। তার প্রতিনিধি দলে থাকবেন জাতীয় পার্টির সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির ফারুক রেহমান, জেজিপিএর তাসমিয়া প্রধান, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশের শাহ আহমেদ বাদল।
বাংলাদেশ জাসদের নেতৃত্ব দেবেন শরীফ নুরুল আম্বিয়া। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন নাজমুল হক প্রধান, মোশতাক হোসেন, আব্দুল কাদির হাওলাদার, কাজী সদরুল হক।
সন্ধ্যা ৭টায় গণফোরাম ও জাতীয় পার্টির বৈঠক। জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন জিএম কাদের। তার প্রতিনিধি দলে থাকবেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান চুন্নু, মাশরুর মাওলা ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। আর গণফোরামের নেতৃত্বে থাকবেন ড. কামাল হোসেন। তার প্রতিনিধি দলে থাকবেন মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এস এম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের ও মোশতাক আহমেদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠক শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, উপদেষ্টারা সময়ে সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এর আগে গত ১২ আগস্ট মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ড. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, শাহ আলমের নেতৃত্বে সিপিবি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে লোকতন্ত্র মঞ্চ, আন্দালিব রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। পার্থ বিজেপির নেতৃত্বে, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করিমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবি পার্টি, হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে গণ অধিকার পরিষদ এবং ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএমের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম জোট পৃথক সংলাপে বসে।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ১৯৭৫ সালের ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পরামর্শক পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য দল ও সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।