গাজা উপত্যকায় বোমা হামলায় বিধ্বস্ত এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে বহু মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, এলাকায় ফেলে আসা অবিস্ফোরিত বিস্ফোরকগুলো বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে গাজার কোথাও নিরাপদ নয়।

জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের মতে, গাজায় 37 মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসাবশেষের মধ্যে প্রায় 800,000 টন অ্যাসবেস্টস, অন্যান্য দূষক এবং অবিস্ফোরিত অস্ত্র রয়েছে। অন্তত 10 শতাংশ গোলাবারুদ ফায়ার করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় শিশুদের জন্য চর্মরোগ নতুন হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজা উপত্যকায় দেড় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে। বুধবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ডাব্লুএইচওর অনুমান অনুসারে, গাজা যুদ্ধের শুরু থেকে স্ক্যাবিস এবং পরজীবী সংক্রমণের 96,417 টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। পানির উৎস থেকে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ৯ হাজার ২৭৪ জন। ত্বকে র‍্যাশের ঘটনা ৬০ হাজার ১৩০টি। ১০ হাজার ৩৮ জন ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

ফার্মাসিস্ট সামি হামিদ অস্থায়ীভাবে দেইর আল-বালাহ শরণার্থী শিবিরে একটি ক্লিনিক চালান। তিনি বলেন, বিশেষ করে গাজায় খোসপাঁচড়া ও খোসপাঁচড়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গাজায় চর্মরোগের চিকিৎসায় ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। হামিদ, 43, আক্রান্ত শিশুদের ত্বকে ক্যালামাইন লোশন ঘষে অস্বস্তি কমানোর চেষ্টা করেছিলেন।

Leave A Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.