স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এমডি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছিলেন। তাজুল ইসলাম
‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও স্মার্ট স্থানীয় সরকার গড়তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। কথা বলার সময়। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার’
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
তাজুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে একটি সম্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। তাই তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করতে বহু ত্যাগ স্বীকার করে জীবন অতিবাহিত করেছেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করছিলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করলেও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার স্বপ্ন পূরণে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সূচকের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাত্র ১৫ বছরে বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করেছেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। এখন বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে আজ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে অর্থনৈতিক গতি বাড়বে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথ প্রশস্ত করেছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী সূর্য সন্তানদের আত্মত্যাগ যাতে বিফলে না যায় সেজন্য আমাদের সবাইকে নিজ নিজ পদ থেকে কাজ করতে হবে। জাতির পিতার অপূর্ণ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালাতে হবে।